জয় হোক মানুষের, জয় হোক ভালভাসার। মুহাম্মদ হাবিবুল ইসলাম।
ভালভাসা- যে জিনিসটা মানুষকে গেথে দিয়েছে এক সুতোয়। বলতে হবে ভালভাসার
জন্যই মানুষ এক-অপরকে চিনতে পেরেছে,বুঝতে পেরেছে। ভালভাসার চুড়ান্ত ধাপ
হচ্ছে বিবাহ,দুজন মানুষের কামনা-বাসনার পূর্ণতা দেই বিবাহ। আমাদের এই
চিরায়ত বাংলার সমাজ ব্যবস্থায় বিবাহ একটি জটিল বিষয়,অনেকটা যুদ্ধের মত।
এখানে সহায়-সম্পত্তি বিনির্মানের যুদ্ধে নামতে হয় প্রতিটা বিবাহযোগ্য
পাত্র-পাত্রীকে। নিজের মনুষ্যত্ববোধের কোন জায়গা নেই। ভালভাসার আকাশ যখন
তারার আলোই আলোকিত,রাত পেরোলেই সকাল হবে ঠিক তখনই জনাব বিসিএস
প্রতিযোগীকে এখানে প্রেমিকার শুভ বিবাহ অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রন পত্রে
পাত্রের নামের দিকে চেয়ে থাকতে হয় অথবা সদ্য কলেজপড়ুয়া যুবকটাকে আগামী ২২শে
ফেব্রুয়ারী তার প্রিয়তমেষুর বিয়ের সংবাদ নিয়ে মার্চে পরীক্ষার হলে বসতে
হয়। এখানে পরিস্থিতির শেষ নির্মমতা দেখতে হয় সাত বছর ধরে সম্পর্কে জড়ানো
সপ্নবিলাসী জোড়া এক প্রেমিকজুটিকে। পরিবার আমাদের মেয়েদের বাধ্য করেছে
বুকের কাছে পুষে রাখা প্রেমিক পুরুষটাকে বিসর্জন দিয়ে রোজ মাঝরাতে স্বামীর
বুকে ভালভাসার মানুষটাকে খুজতে। আমরা পুরুষরা নিজেদের আটকে রেখেছি
প্রেমিকা হারানোর ব্যাথ্যা নিয়ে শক্ত হাতে নিজের সপ্নের চূড়ায় পৌছতে। একটা
সময় পরে,আমরা সবাই যে যার মত সুখী। আমরা কেউ দুই মেয়ে,১ছেলের সফলতা নিয়ে
খুশী,কেউ স্বামীটাকে নিজের মত করে পেয়ে খুশী,কেউ কেউ জীবন সংগ্রামের পথে
নিজেকে মেলে দিতে পেরে সুখী। এই ভালভাসা হারানো সুখী জীবনে দিনশেষে সুখের
স্বাদ নিচ্ছি সবাই অথচ কোন এক জোছনা রাতে নিজের হারানো দিনগুলোকে আমরা কেউই
অস্বীকার করতে পারিনা। তাই,দিনশেষে সবই সুখের অভিনয়।
সবকিছুর পরও আমরা সামাজিক,সুন্দর সমাজ তকমা নিয়ে নতুন আলোই ভরে যাচ্ছে সমাজ,ভাল থাকতে ব্যস্ত এখানে সব শ্রেণীর মানুষ। তবুও আমরা ভাল আছি,সুখে আছি,সমাজে আছি।
এটাই মানুষের সবচেয়ে বড় সফলতা,বড় অহামিকা।
সবকিছুর পরও আমরা সামাজিক,সুন্দর সমাজ তকমা নিয়ে নতুন আলোই ভরে যাচ্ছে সমাজ,ভাল থাকতে ব্যস্ত এখানে সব শ্রেণীর মানুষ। তবুও আমরা ভাল আছি,সুখে আছি,সমাজে আছি।
এটাই মানুষের সবচেয়ে বড় সফলতা,বড় অহামিকা।
জয় হোক মানুষের,জয় হোক ভালভাসার।
Comments
Post a Comment